ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে কুমিল্লার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও হোমনা উপজেলায় বুধবার সকাল ৮টা হতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রেহানা বেগম। তিনি উপজেলাটির বর্তমান চেয়ারম্যান এবং কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদের স্ত্রী।
রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা লীগের সদস্য। আর নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এসেছে নতুন মুখ।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া। তিনি উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান।
আর চৌদ্দগ্রামে উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (৫ জুন) রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার দেওয়া বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, হোমনা চেয়ারম্যান পদে রেহেনা বেগম আনারস প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট।
নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ছুফু কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১১২ ভোট। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের আরেক প্রার্থী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০১ ভোট।
এদিকে, জেলার চৌদ্দগ্রামে চেয়ারম্যান পদে মো. রহমত উল্লাহ বাবুল আনারস প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম গোলাম ফারুক দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ ভোট।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের তৎপরতায় ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।