রাজনীতি হওয়া উচিত জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে! একজন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে যিনি নিজেকে দলীয় ও সামাজিক কল্যানে সম্পূর্ণরূপে বিলিয়ে দিয়েছেন সাধারন মানুষের জন্য।

শিল্প/ আর্থিক খাতেও রয়েছে তার অসামান্য ভুমিকা! তিনি একাধারে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক, যিনি যৌবনের পুরো সময় থেকেই বর্তমান পর্যন্ত শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী ও আদর্শিক রাজনীতির চর্চা করতে চান! দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিএনপির এ নেতা বলেন, বিগত দিনের মতোই অসহায় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিলাম আছি ও আজীবন পাশে থাকতে চাই ইনশাআল্লাহ। রাজনীতির মাধ্যমে পাওয়ার কিছু নাই।

রাজনীতি হলো নীতিমালার একটি স্বতন্ত্র রূপ, যার দ্বারা মানুষেরর মৌলিক অধিকার মিটিয়ে ফেলতে পারে একজন নেতা। রাজনীতিক ও সামাজিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষই জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেন।

তিনি আরো বলেন, বৃহৎ জনগোষ্টির ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হলে দক্ষযোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলি মানুষকেই তারা নেতা হিসেবে বেছে নিবেন। আমি আছি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে বিএনপির সাথে, আছি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জনতার সাথে।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক- সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি এ দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন তলাবিহীন ঝুড়ির পরিবর্তে অপার সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে, যার জাতীয়তাবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে চলেছেন জনাব আবু জাফর আহমেদ বাবুল। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,শিল্পপতি ও রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব বিএনপির পক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে এ আসনের জনগনের পক্ষে জনহিতকর কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।

শহীদ জিয়ার হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপির একনিষ্ঠ ভক্ত হবার কারণে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়গুলোতে তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন মিথ্যা হামলা-মামলা-হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছেন। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে আপোষ না করায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দুদকে দায়ের করে জাতীয়তাবাদীর আদর্শকে গলা চেপে ধরতে চেয়েছিলো ফ্যাসিবাদীরা, কিন্তু শহীদ জিয়া যেমন তার নিজ তথা জাতীয়তাবাদী আদর্শকে মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত লালন করে গেছেন, তেমনি জনাব আবু জাফর আহমেদ বাবুল-ও শহীদ জিয়ার আদর্শে আপোষহীন রয়েছেন। বিগত বছরগুলোতে নারায়ণগঞ্জ এর বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিপদে সর্বদাই তার অফিস ছিলো সবার জন্য উন্মুক্ত।

সর্বশেষ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি নিজ পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর ঝুকি থাকা সত্বেও সক্রিয়ভাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাশে ছিলেন। জনাব আবু জাফর আহমেদ বাবুল শহীদ জিয়া পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের সাথে পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরেও কখনো সেটার সুযোগ নেননি বলে সুত্রে জানা গেছে। বরং সর্বদা পর্দার আড়ালে থেকেই শহীদ জিয়ার একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে বিএনপির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।

উনার দ্বারা নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের জনসেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চালু রেখেছেন।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ এর মানুষের অধিকতর কল্যাণের জন্য দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ জিয়া পরিবার তথা বিএনপির পক্ষে নমিনেশন পেলে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জনগনের ম্যান্ডেটে ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে এ শহরকে আধুনিকায়ন এবং দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থাকবেন।

এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর যে দাবীগুলো বিগত স্বৈরাচারী সরকার কোনটাই পূরণ করতে পারেনি সেগুলো বাস্তবায়ন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, যাদের পেশা শুধুমাত্র রাজনীতি করা তারা দেশ ও জনগণের জন্য কাজ কিভাবে করবে! খাই খাই, চাদাবাজির অপরাজনীতি থেকে বিরত থাকতে হলে আগে নিজেকে কর্ম দ্বারা সাবলম্বী করে দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।

জনগণের কল্যাণে নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নে কাজ করার জন্য যদি তাকে বিএনপি থেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নমিনেশন প্রদান করেন তবে তিনি এ শহর-বন্দরকে চাদাবাজিমুক্ত,মাদকমুক্ত-সহ সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও কঠোরভাবে দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, বাণিজ্যিক নগরীরূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন।

তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সকল জনগণের নিকট দোয়া চেয়েছেন।