
শিশুশিল্পী দীঘি এখন পুরোদস্তুর নায়িকা। কয়েকটি ছবি এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে। এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র ‘জংলি’। এম রাহিম পরিচালিত এ ছবিটি নায়িকা দীঘির প্রথম চলচ্চিত্র, যা ঈদ উৎসবে মুক্তি পেয়েছে। তাই এবারের ঈদ দীঘির জীবনে বিশেষ অর্থ বহন করে।
দীঘি বলেন, ‘প্রতিবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ ঢাকাতেই করা হয়। এবারও করছি। তবে এবার ঈদটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল। কারণ, আমার জংলি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি নিয়ে যেমন অনেক বেশি উত্তেজনা কাজ করছে, ঠিক তেমনি বেশ নার্ভাসও আমি। ঈদের দিন সকাল থেকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও পরে হল ভিজিটে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

প্রথমবার ঈদ উৎসবে মুক্তি পাওয়া নিজের অভিনীত সিনেমা নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। ‘জংলি’ লিখে হাতে মেহেদির নকশা এঁকেছেন এই নায়িকা।
দীঘি জানান, শুধু হাতে নয় এখন মনে–প্রাণে ধ্যানে-জ্ঞানেও তার মধ্যে জংলি বসবাস করছে। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘জংলি’ সিনেমায় দীঘি অভিনয় করেছেন সিয়ামের বিপরীতে।
দীঘি বলেন, জংলি আমাদের স্বপ্নের একটি সিনেমা। দারুণ একটি গল্পের সিনেমা। এই সিনেমার টিমের প্রতিটি সদস্য সিনেমাটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করছে। প্রতিবার ঈদেই নিজের খুশিমতো হাতে মেহেদির আলপনা আঁকি। এবার আঁকলাম প্রিয় সিনেমা জংলির নাম। আমার বিশ্বাস, জংলি সিনেমা মুক্তির পর সবার আপন হয়ে উঠবে।
জংলি পরিচালনা করছেন এম রাহিম। ‘শান’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার। প্রথম সিনেমা মুক্তির দুই বছর পর দ্বিতীয় সিনেমা নির্মাণে নেমেছেন এই নির্মাতা।

এদিকে ছবি নিয়ে কথা বলার ফাঁকে ঈদ নিয়েও মজার স্মৃতির কথা জানালেন দীঘি। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদের দিনের কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। তবু অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করে মনে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো। সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলো নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না নিজের মতো করে। তাই তো সালামি হাতে পেলে বসতাম রাজ্যের পরিকল্পনায়। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না।’