ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
আমরা তোমাদের মানবতা ও মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত একজন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান- আবু জাফর আহমেদ বাবুল রূপসায় দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার খুলনা জেলার পক্ষ থেকে গুনীজন সংবর্ধনা প্রদান মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল মিয়ানমার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ঈদে একদিন বন্ধের পর আজ ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে মিয়ানমারে ত্রাণের দ্বিতীয় মিশন পাঠালো বাংলাদেশ ঈদের দ্বিতীয় দিন ঢাকায় যান চলাচল বেড়েছে, নেই চিরচেনা যানজট দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আল আমিন সোহাগ

১৫০ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হচ্ছে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’

দেশের ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ চালুর লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ‘দারিদ্র্য-পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ইএফটির মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ‘দারিদ্র্য-পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ চালুর লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রাথমিক স্তরে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ সমাজের সব শিশুর মূলধারার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া নিশ্চিতকল্পে একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তা ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইলচেয়ার, ক্রাচ, শ্রবণযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ করা হচ্ছে এবং প্রতিবন্ধকতা উত্তরণ সহায়ক উপকরণ ক্রয় ও বিতরণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা তোমাদের মানবতা ও মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

১৫০ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হচ্ছে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

দেশের ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ চালুর লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ‘দারিদ্র্য-পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ইএফটির মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। ‘দারিদ্র্য-পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ চালুর লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

প্রাথমিক স্তরে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ সমাজের সব শিশুর মূলধারার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া নিশ্চিতকল্পে একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তা ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য হুইলচেয়ার, ক্রাচ, শ্রবণযন্ত্র ইত্যাদি ক্রয় ও বিতরণ করা হচ্ছে এবং প্রতিবন্ধকতা উত্তরণ সহায়ক উপকরণ ক্রয় ও বিতরণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় চাহিদার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সুবিধার্থে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।