ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, সারা দেশে গ্রেফতার ৬২ স্বাস্থ্য-কল্যাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান বাংলাদেশের আমরা তোমাদের মানবতা ও মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত একজন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান- আবু জাফর আহমেদ বাবুল রূপসায় দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার খুলনা জেলার পক্ষ থেকে গুনীজন সংবর্ধনা প্রদান মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল মিয়ানমার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ঈদে একদিন বন্ধের পর আজ ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে মিয়ানমারে ত্রাণের দ্বিতীয় মিশন পাঠালো বাংলাদেশ

কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু, কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

এতদিন লিচু শ বা পিস হিসেবে বিক্রি হলেও দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো ফলটি বিক্রি শুরু হয়েছে কেজি দরে। প্রতি কেজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তবে এসব লিচু বোটা থেকে ঝরা। বাড়তি দামের কারণে যারা লিচু কিনতে পারছেন না তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন কেজি দরে বিক্রি করা ওই দোকানে। ভালো বিক্রি হওয়ায় খুশি বিক্রেতাও।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় হিলি বাজারে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে বাছাই করে নিলে ১৫০ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে। কম দামে ভালোমানের লিচু কিনে দারুণ খুশি ক্রেতারা।

লিচু কিনতে আসা হামিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত লিচু শ হিসাবে বা পিস বিক্রি হয়ে আসছে। কিন্তু আজকে হিলি বাজারের পাবনা স্টোর মোড়ে দেখছি, কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অনেক মানুষের ভিড় দেখে আমিও আধা কেজি কিনলাম।

লিচু কিনতে আসা ভ্যানচালক আব্দুল খালেক বলেন, বাজারে বোম্বাই লিচুর শ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে তা দিয়ে চাল ডাল কিনে সংসার চালাতেই হিমশিম অবস্থা। এর ওপর এত দামে লিচু কিনে ছেলে মেয়েদেরকে খাওয়ানো অসম্ভব। এখানে লিচু ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শুনে কিনতে এসেছি। লিচু বেশ ভালোই রয়েছে তাই এক কেজি কিনলাম।

রতনপুর থেকে হিলি বাজারে লিচু বিক্রি করতে আসা আবু মুসা বলেন, আমি প্রতি বছর মৌসুমে দিনাজপুর থেকে ঝরা লিচু কিনে এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। দিনাজপুর থেকে প্রতিদিন ঢাকার পাইকাররা বিপুল পরিমাণ লিচু কিনে নিয়ে যান। গাছ থেকে এসব লিচু পাড়তে গিয়ে বা গণনার সময় বোটা থেকে খুলে পড়ে। সেসব লিচু ঢাকার পাইকাররা আর নেন না। আমরা সেগুলো বাগান মালিকের কাছ থেকে ক্যারেট চুক্তিতে কিনে আনি। বাগান থেকে প্রতি কেজি কিনতে দাম পড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আগে কেজি হিসাবে বিক্রির প্রচলন না থাকলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। নিন্মআয়ের মানুষেরা বেশি কিনছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, সারা দেশে গ্রেফতার ৬২

কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লিচু, কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

এতদিন লিচু শ বা পিস হিসেবে বিক্রি হলেও দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে প্রথমবারের মতো ফলটি বিক্রি শুরু হয়েছে কেজি দরে। প্রতি কেজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তবে এসব লিচু বোটা থেকে ঝরা। বাড়তি দামের কারণে যারা লিচু কিনতে পারছেন না তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন কেজি দরে বিক্রি করা ওই দোকানে। ভালো বিক্রি হওয়ায় খুশি বিক্রেতাও।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় হিলি বাজারে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে বাছাই করে নিলে ১৫০ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে। কম দামে ভালোমানের লিচু কিনে দারুণ খুশি ক্রেতারা।

লিচু কিনতে আসা হামিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত লিচু শ হিসাবে বা পিস বিক্রি হয়ে আসছে। কিন্তু আজকে হিলি বাজারের পাবনা স্টোর মোড়ে দেখছি, কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অনেক মানুষের ভিড় দেখে আমিও আধা কেজি কিনলাম।

লিচু কিনতে আসা ভ্যানচালক আব্দুল খালেক বলেন, বাজারে বোম্বাই লিচুর শ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে তা দিয়ে চাল ডাল কিনে সংসার চালাতেই হিমশিম অবস্থা। এর ওপর এত দামে লিচু কিনে ছেলে মেয়েদেরকে খাওয়ানো অসম্ভব। এখানে লিচু ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শুনে কিনতে এসেছি। লিচু বেশ ভালোই রয়েছে তাই এক কেজি কিনলাম।

রতনপুর থেকে হিলি বাজারে লিচু বিক্রি করতে আসা আবু মুসা বলেন, আমি প্রতি বছর মৌসুমে দিনাজপুর থেকে ঝরা লিচু কিনে এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। দিনাজপুর থেকে প্রতিদিন ঢাকার পাইকাররা বিপুল পরিমাণ লিচু কিনে নিয়ে যান। গাছ থেকে এসব লিচু পাড়তে গিয়ে বা গণনার সময় বোটা থেকে খুলে পড়ে। সেসব লিচু ঢাকার পাইকাররা আর নেন না। আমরা সেগুলো বাগান মালিকের কাছ থেকে ক্যারেট চুক্তিতে কিনে আনি। বাগান থেকে প্রতি কেজি কিনতে দাম পড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আগে কেজি হিসাবে বিক্রির প্রচলন না থাকলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। নিন্মআয়ের মানুষেরা বেশি কিনছেন।