ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, সারা দেশে গ্রেফতার ৬২ স্বাস্থ্য-কল্যাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান বাংলাদেশের আমরা তোমাদের মানবতা ও মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত একজন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান- আবু জাফর আহমেদ বাবুল রূপসায় দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার খুলনা জেলার পক্ষ থেকে গুনীজন সংবর্ধনা প্রদান মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল মিয়ানমার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ঈদে একদিন বন্ধের পর আজ ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে মিয়ানমারে ত্রাণের দ্বিতীয় মিশন পাঠালো বাংলাদেশ

আজ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া পবিত্র ঈদুল আজহা

বছর ঘুরে মুসলমানদের দুয়ারে আত্মত্যাগ ও খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। বিশ্ব মুসলিমের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আজহা। আজ সোমবার (১৭ জুন) যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চিরবিদায় নেওয়া তাদের স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানি প্রচলিত হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া ঈদুল আজহার এই উৎসব।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.)-কে কোরবানি করার ঘটনার স্মরণে কোরবানি প্রচলিত হয়।

পুত্র কোরবানির পরীক্ষায় হযরত ইবরাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে খলিলুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন প্রতি বছরই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহপাকের আনুগত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আদিষ্ট হয়ে প্রতি বছরই পশু কোরবানি করেছেন এবং তার উম্মতের জন্য এ আদর্শ ও প্রথা অনুসরণের কঠোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন। যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের জন্য কোরবানি করা বাধ্যতামূলক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদের ওপর ওয়াজিব তারা কোরবানি না করলে যেন ঈদগাহে গমন না করে।

তিনি আরও বলেছেন, কোরবানির দিন কোন ব্যক্তির কোরবানির পশুর রক্ত ঝরানোর মতো আল্লাহপাকের কাছে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজ আর কিছু নেই। কোরবানিকে আল্লাহ এবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করাটাই উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জিত হলে কোরবানি করা সার্থক হয়ে থাকে।

আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না তাদের (পশুর) গোশত ও রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের আদর্শ। তিনি পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হলে আল্লাহপাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে হজরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে দুম্বা উপস্থিত করেন এবং দুম্বা জবাই হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে যে নজির হজরত ইবরাহিম (আ.) রেখে গেছেন, মানব ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মিল্লাতে ইবরাহিমের জন্য এক মহান আদর্শ, এ গৌরবের স্তম্ভ।

এ উৎসবে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও মানবিক নানা কল্যাণকর দিকও রয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ব, ঐক্য সংহতি, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রকাশের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এই ঈদ। কোরবানি অর্থ ত্যাগ এবং ত্যাগের মহিমার মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন।

এই কোরবানির একটি অংশ দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ধনী দরিদ্র সকলেই যাতে সমভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোরবানির গোশতের ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মানতে হবে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। রেডিও, বিটিভি এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ৩ দিন এবং কোন কোন চ্যানেল ৫/৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

অন্যদিকে সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদের দিনে কারাগার, বিভিন্ন হাসপাতাল, এতিমখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশিত হবে।আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা।

হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানি প্রচলিত হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া ঈদুল আজহার এই উৎসব। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.)-কে কোরবানি করার ঘটনার স্মরণে কোরবানি প্রচলিত হয়। পুত্র কোরবানির পরীক্ষায় হযরত ইবরাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে খলিলুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন প্রতি বছরই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহপাকের আনুগত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আদিষ্ট হয়ে প্রতি বছরই পশু কোরবানি করেছেন এবং তার উম্মতের জন্য এ আদর্শ ও প্রথা অনুসরণের কঠোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন। যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের জন্য কোরবানি করা বাধ্যতামূলক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদের ওপর ওয়াজিব তারা কোরবানি না করলে যেন ঈদগাহে গমন না করে।

তিনি আরও বলেছেন, কোরবানির দিন কোন ব্যক্তির কোরবানির পশুর রক্ত ঝরানোর মতো আল্লাহপাকের কাছে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজ আর কিছু নেই। কোরবানিকে আল্লাহ এবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করাটাই উদ্দেশ্য।

এ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জিত হলে কোরবানি করা সার্থক হয়ে থাকে। আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না তাদের (পশুর) গোশত ও রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের আদর্শ। তিনি পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হলে আল্লাহপাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে হজরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে দুম্বা উপস্থিত করেন এবং দুম্বা জবাই হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে যে নজির হজরত ইবরাহিম (আ.) রেখে গেছেন, মানব ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মিল্লাতে ইবরাহিমের জন্য এক মহান আদর্শ, এ গৌরবের স্তম্ভ। এ উৎসবে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও মানবিক নানা কল্যাণকর দিকও রয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ব, ঐক্য সংহতি, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রকাশের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এই ঈদ। কোরবানি অর্থ ত্যাগ এবং ত্যাগের মহিমার মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন।

এই কোরবানির একটি অংশ দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ধনী দরিদ্র সকলেই যাতে সমভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোরবানির গোশতের ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মানতে হবে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। রেডিও, বিটিভি এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ৩ দিন এবং কোন কোন চ্যানেল ৫/৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

অন্যদিকে সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদের দিনে কারাগার, বিভিন্ন হাসপাতাল, এতিমখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশিত হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, সারা দেশে গ্রেফতার ৬২

আজ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া পবিত্র ঈদুল আজহা

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

বছর ঘুরে মুসলমানদের দুয়ারে আত্মত্যাগ ও খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। বিশ্ব মুসলিমের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আজহা। আজ সোমবার (১৭ জুন) যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চিরবিদায় নেওয়া তাদের স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানি প্রচলিত হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া ঈদুল আজহার এই উৎসব।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.)-কে কোরবানি করার ঘটনার স্মরণে কোরবানি প্রচলিত হয়।

পুত্র কোরবানির পরীক্ষায় হযরত ইবরাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে খলিলুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন প্রতি বছরই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহপাকের আনুগত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আদিষ্ট হয়ে প্রতি বছরই পশু কোরবানি করেছেন এবং তার উম্মতের জন্য এ আদর্শ ও প্রথা অনুসরণের কঠোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন। যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের জন্য কোরবানি করা বাধ্যতামূলক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদের ওপর ওয়াজিব তারা কোরবানি না করলে যেন ঈদগাহে গমন না করে।

তিনি আরও বলেছেন, কোরবানির দিন কোন ব্যক্তির কোরবানির পশুর রক্ত ঝরানোর মতো আল্লাহপাকের কাছে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজ আর কিছু নেই। কোরবানিকে আল্লাহ এবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করাটাই উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জিত হলে কোরবানি করা সার্থক হয়ে থাকে।

আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না তাদের (পশুর) গোশত ও রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের আদর্শ। তিনি পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হলে আল্লাহপাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে হজরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে দুম্বা উপস্থিত করেন এবং দুম্বা জবাই হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে যে নজির হজরত ইবরাহিম (আ.) রেখে গেছেন, মানব ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মিল্লাতে ইবরাহিমের জন্য এক মহান আদর্শ, এ গৌরবের স্তম্ভ।

এ উৎসবে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও মানবিক নানা কল্যাণকর দিকও রয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ব, ঐক্য সংহতি, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রকাশের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এই ঈদ। কোরবানি অর্থ ত্যাগ এবং ত্যাগের মহিমার মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন।

এই কোরবানির একটি অংশ দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ধনী দরিদ্র সকলেই যাতে সমভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোরবানির গোশতের ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মানতে হবে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। রেডিও, বিটিভি এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ৩ দিন এবং কোন কোন চ্যানেল ৫/৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

অন্যদিকে সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদের দিনে কারাগার, বিভিন্ন হাসপাতাল, এতিমখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশিত হবে।আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে পালিত হয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা।

হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানি প্রচলিত হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া ঈদুল আজহার এই উৎসব। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর পূর্বে হযরত ইবরাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.)-কে কোরবানি করার ঘটনার স্মরণে কোরবানি প্রচলিত হয়। পুত্র কোরবানির পরীক্ষায় হযরত ইবরাহিম (আ.) উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে খলিলুল্লাহ উপাধি পেয়েছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন, ততদিন প্রতি বছরই পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহপাকের আনুগত্যের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আদিষ্ট হয়ে প্রতি বছরই পশু কোরবানি করেছেন এবং তার উম্মতের জন্য এ আদর্শ ও প্রথা অনুসরণের কঠোর নির্দেশ দিয়ে গেছেন। যাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব তাদের জন্য কোরবানি করা বাধ্যতামূলক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদের ওপর ওয়াজিব তারা কোরবানি না করলে যেন ঈদগাহে গমন না করে।

তিনি আরও বলেছেন, কোরবানির দিন কোন ব্যক্তির কোরবানির পশুর রক্ত ঝরানোর মতো আল্লাহপাকের কাছে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজ আর কিছু নেই। কোরবানিকে আল্লাহ এবাদত হিসেবে নির্দেশ করেছেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য প্রদর্শন করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করাটাই উদ্দেশ্য।

এ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জিত হলে কোরবানি করা সার্থক হয়ে থাকে। আল্লাহপাক সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না তাদের (পশুর) গোশত ও রক্ত বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের আদর্শ। তিনি পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হলে আল্লাহপাক তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে হজরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে দুম্বা উপস্থিত করেন এবং দুম্বা জবাই হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে যে নজির হজরত ইবরাহিম (আ.) রেখে গেছেন, মানব ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মিল্লাতে ইবরাহিমের জন্য এক মহান আদর্শ, এ গৌরবের স্তম্ভ। এ উৎসবে ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্য যেমন রয়েছে, তেমনি পারিবারিক, সামাজিক ও মানবিক নানা কল্যাণকর দিকও রয়েছে। সৌভ্রাতৃত্ব, ঐক্য সংহতি, বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রকাশের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এই ঈদ। কোরবানি অর্থ ত্যাগ এবং ত্যাগের মহিমার মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি করেন।

এই কোরবানির একটি অংশ দরিদ্রদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। ধনী দরিদ্র সকলেই যাতে সমভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ইসলামে সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। কোরবানির গোশতের ভাগ বাটোয়ারা করার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মানতে হবে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। রেডিও, বিটিভি এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ৩ দিন এবং কোন কোন চ্যানেল ৫/৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

অন্যদিকে সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদের দিনে কারাগার, বিভিন্ন হাসপাতাল, এতিমখানা, ভবঘুরে কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশিত হবে।