ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, সারা দেশে গ্রেফতার ৬২ স্বাস্থ্য-কল্যাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান বাংলাদেশের আমরা তোমাদের মানবতা ও মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত একজন শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান- আবু জাফর আহমেদ বাবুল রূপসায় দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার খুলনা জেলার পক্ষ থেকে গুনীজন সংবর্ধনা প্রদান মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল মিয়ানমার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ঈদে একদিন বন্ধের পর আজ ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে মিয়ানমারে ত্রাণের দ্বিতীয় মিশন পাঠালো বাংলাদেশ

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে ফোন নিয়ে আসলে তা নিবন্ধন করতে হবে। না হলে এনবিআর ব্যবস্থা নিবে। যাদের ফোনের দাম দুই লাখ, এক লাখ বা ৫০ হাজার; তারা নিশ্চয়ই ট্যাক্স দেওয়ার যোগ্যতা রাখে।
ডেটাবেজে ঢুকে অনিবন্ধিত ফোন ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এনবিআর। আমরা ফোন ব্লক করবো না, কিন্তু এনবিআরকে ডাটাবেইজ ব্যবহারের সুবিধা দেব।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ, বিটিআরসির মহাপরিচালক মনিরুজ্জামান জুয়েল, রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, এমটব মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রতিবছর দেশে প্রায় ৫ কোটি মোবাইল ফোনের চাহিদা আছে। ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যাক ৩ কোটি মোবাইল ফোন বাংলাদেশে সংযোজন হয়েছিল। বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছিল, আবার কিছু অবৈধ পথে এসেছে। ২০২৩-২৪ সালে এসে উৎপাদনের সংখ্যাটা কমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীদের বিটিআরসি ইনফরমেশন ও টেকনোলজি সাপোর্ট দেবে। ডিবি প্রধান আশ্বস্ত করেছেন তার গোয়েন্দা বিভাগ পুলিশের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা দেবে। ভোক্তা অধিদপ্তরও আপনাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।’

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমাদের মোবাইলের রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম এবং কাস্টমস থেকে ট্যাক্স পেইড আমদানিকৃত মোবাইলে ফোনের ডেটাবেজ যেন বিটিআরসিতে সংরক্ষিত থাকে। যাতে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ভোক্তা অধিদপ্তর যখনই অভিযানে যাবে তখন যেন ইনস্ট্যান্ট রিয়েল টাইম ভেরিফাই করতে পারে, যাতে করে তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়।

অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে চাই। ডিবি প্রধানকে অনুরোধ করবো, অবৈধ হ্যান্ডসেট যেগুলো চোরা পথে বা গ্রে চ্যানেলে এসেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে যেন একটা অভিযান শুরু করেন।’

সেমিনারে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে মোবাইল আনা হচ্ছে। রাজধানীর বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে কর ফাঁকির ফোন। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ সব কাজ হচ্ছে। আমরা সে সব জায়গাও অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হচ্ছি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাট, সারা দেশে গ্রেফতার ৬২

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

আপডেট সময় : ০১:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে ফোন নিয়ে আসলে তা নিবন্ধন করতে হবে। না হলে এনবিআর ব্যবস্থা নিবে। যাদের ফোনের দাম দুই লাখ, এক লাখ বা ৫০ হাজার; তারা নিশ্চয়ই ট্যাক্স দেওয়ার যোগ্যতা রাখে।
ডেটাবেজে ঢুকে অনিবন্ধিত ফোন ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এনবিআর। আমরা ফোন ব্লক করবো না, কিন্তু এনবিআরকে ডাটাবেইজ ব্যবহারের সুবিধা দেব।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে টেলিকম এন্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ, বিটিআরসির মহাপরিচালক মনিরুজ্জামান জুয়েল, রবি আজিয়াটার চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, এমটব মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রতিবছর দেশে প্রায় ৫ কোটি মোবাইল ফোনের চাহিদা আছে। ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যাক ৩ কোটি মোবাইল ফোন বাংলাদেশে সংযোজন হয়েছিল। বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছিল, আবার কিছু অবৈধ পথে এসেছে। ২০২৩-২৪ সালে এসে উৎপাদনের সংখ্যাটা কমে গেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীদের বিটিআরসি ইনফরমেশন ও টেকনোলজি সাপোর্ট দেবে। ডিবি প্রধান আশ্বস্ত করেছেন তার গোয়েন্দা বিভাগ পুলিশের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা দেবে। ভোক্তা অধিদপ্তরও আপনাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।’

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আমাদের মোবাইলের রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম এবং কাস্টমস থেকে ট্যাক্স পেইড আমদানিকৃত মোবাইলে ফোনের ডেটাবেজ যেন বিটিআরসিতে সংরক্ষিত থাকে। যাতে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ভোক্তা অধিদপ্তর যখনই অভিযানে যাবে তখন যেন ইনস্ট্যান্ট রিয়েল টাইম ভেরিফাই করতে পারে, যাতে করে তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়।

অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে চাই। ডিবি প্রধানকে অনুরোধ করবো, অবৈধ হ্যান্ডসেট যেগুলো চোরা পথে বা গ্রে চ্যানেলে এসেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে যেন একটা অভিযান শুরু করেন।’

সেমিনারে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে মোবাইল আনা হচ্ছে। রাজধানীর বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে কর ফাঁকির ফোন। যার কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ সব কাজ হচ্ছে। আমরা সে সব জায়গাও অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হচ্ছি।’